Facebook Marketing (Part-1)

এই লিখাটা কাদের জন্যে ঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এ আগ্রহী মার্কেটিং/ব্র্যান্ড পেশাজীবী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনলাইন ফ্রিল্যান্সার কোভিড-১৯ এর কারণে বর্তমানে সারা জাগানো একটি সেক্টর হল ই-কর্মাস সেক্টর।অনেকেই এখন নিজেকে স্বামলম্বী করার লক্ষ্যে ই-কর্মাস সেক্টরে কাজ শুরু করছেন। ব্যবসা শুরু করার পর অনেকেই নানা সমস্যার ভিতর পরেন এর ভিতর অন্যতম একটি সমস্যা হল মার্কেটিং সমস্যা আর বর্তমানে মার্কেটিং মানেই হল ডিজিটাল মার্কেটিং। বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চ্যানেল হল ফেসবুক।বর্তমান সময়ে অনেকেই নিজের ব্যবসার জন্যে ফেসবুকে মার্কেটিং করতে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হন। ক্যাম্পেইন গুলো ভালোভাবে রান করতে পারেন নাহ, বিভিন্ন ফেসবুক Group পোষ্ট করেন কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল পান না এছাড়াও নানাবিধ সমস্যা লেগেই থাকে।আজ আমরা কথা বলব ফেসবুক মার্কেটিং এর একদম বেসিক জিনিস গুলো নিয়ে। ফেসবুকে মার্কেটিং শুরু করতে আপনার কি কি জিনিস করতে হবে কি কি বিষয় জানতে হবে এই সব নিয়েই আমাদের আজকের লেখা ফেসবুকে মার্কেটিং শুরু করতেই প্রথমে আপনার একটি ফেসবুক পেজ প্রয়োজন।কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয় এই নিয়ে আমি কিছু লিখব না কারণ এই বিষয়ের উপর ইউটিউবে অসংখ্যা ভিডিও আছে আপনারা সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। তবে এখানে আমি কিছু জিনিস উল্লেখ করে দিব যেগুলো একটি পেজ খোলার পর আপনার ঠিক করে নিতে হবে । প্রথমেই যে বিষয়ের উপর লক্ষ রাখতে হবে তা হল লোগো। ফেসবুক পেজের লোগোর আদর্শ পাপ 180*180 Pexel এই সাইজের একটি লোগো আপনার ফেসবুক পেজে বসালে লোগোটি যে কোন ডিভাইসে সুন্দর দেখাবে। লোগোর পর দ্বিতীয় বিষয়টি হল কভার ফোটো। বাংলাদেশের ৯০% ফেসবুক পেজের কভার ফোটো ঠিক নেই।ফেসবুক পেজের কভার ফোটোর আদর্শ পাপ 820*360 Pexel মোবাইলে বা ছোট ডিভাইসে কভার ফোটোর ভিতরের কনটেন্ট গুলো সেফ রাখতে 820*360 Pexel ফোটোর ২ পাশে 90 Pexel এবং উপরে নিচে 24 Pexel ফাকা রাখতে হবে ।তাইলে আপনার কোভার ফোটোর কনটেন্ট সব ডিভাইসে সুন্দর দেখাবে। লোগো এবং কভার ফোটোর পর আপনার পেজে ১-২ পোষ্ট করতে হবে এবং আপনার ফ্রেন্ডদের ইনভাইট দিয়ে পেজে ১০ টার মত লাইক করে পেজের ইউজার নেম দিতে হবে।পেজে ১০টা লাইক না হলে আপনি ইউজার নেম ক্রিয়েট করার অপশন পাবেন নাহ। এরপর পেজের About পার্টের সব গুলো তথ্য পূরণ করতে হবে।পেজে Action Button এড করতে হবে।Action Button বলতে বুঝাচ্ছি মেসেজ/কল/শপ এই বাটন গুলোর একটি বা দুটি এড করতে হবে। পেজের ষ্টোরি অপশনে চাইলে ষ্টোরি এড করতে পারেন এটা অপশনাল।এই পর্যায়ে আপনার পেজ রেডি এবার আপনি ক্যাম্পেইন এ যেতে পারেন। ক্যাম্পেইন বা এড রান তো করবেন কিন্তু অনেকেই ফেসবুক পেজ প্রোমট এবং পোষ্ট বুষ্ট এই বিষয়টা ঠিক বোঝেন নাহ ।অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করে পেজ প্রোমট এবং পোষ্ট বুষ্ট এর ভিতর পার্থক্য কি? দরুন আপনার একটি ১০ টি লাইকের ফেসবুক পেজ আছে।আপনি চাচ্ছেন আপনার ব্র্যান্ডটিকে আরো মানুষ চিনুক।আপনি আপনার পেজটিতে একটি শিক্ষনীয় ভিডিও বা ছবি আপলোড করে সেটা মানুষের মাঝে পেইড এডভারটাইস করলেন এর ফলে আপনার পেজের লাইক সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। যখন আপনি পেজে লাইক বাড়ানোর জন্যে কোন ক্যাম্পেইন রান করেন তখন সেটি হয় পেজ প্রোমোট।যেখানে পেজটি কয়েক হাজার বা কয়েক লাখ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এই তো গেল পেজ প্রোমোট।এখন আসি পোষ্ট বুষ্টে। দরুন পেজ প্রোমোট করার ফলে আপনার পেজে ৫ হাজার লাইক হল আপনি একটি পোষ্ট করলে তার আপনার ওই পেজে থাকা লাইক গণের নিউজ ফিডে দেখাচ্ছে। এখন আপনি চাচ্ছেন আপনার এই পোষ্টটা যেন কয়েক লাখ মানুষ দেখে।তাই আপনি এখন ফেসবুকে টাকা দিবেন যেন সে আপনার এই পোষ্টটা কয়েক লাখ মানুষের কাছে নিয়ে যায় আর এই নিয়ে যাওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটাকেই বলে পোষ্ট বুষ্টে। আজ এই পর্যন্তই। এর পরের পার্টে থাকবে ফেসবুক ক্যাম্পেইন কি,কিভাবে ফেসবুক ক্যাম্পেইন ডিজাইন করতে হয়, কি কি বিষয়ের উপর নজর রেখে ফেসবুক ক্যাম্পেইন চালাতে হয় ।এই সকল বিষয় নিয়ে থাকবে আমাদের ২য় পর্ব।